পানাগড় বাইপাসের সার্ভিস রোডে যানবাহন চলাচল বন্ধ করলেন বাসিন্দারা

27th June 2021 10:46 am বর্ধমান
পানাগড় বাইপাসের সার্ভিস রোডে যানবাহন চলাচল বন্ধ করলেন বাসিন্দারা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( পঃ বর্ধমান ) : পানগড় বাইপাসের সার্ভিস রোডে যানচলাচল বন্ধ করল হাজরা বেড়ার বাসিন্দারা। হাজরা বেড়ার বাসিন্দা জরিনা মল্লিকের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে তারা জলমগ্ন হয়ে রয়েছেন। বৃষ্টি হলেই পুরোপুরি জলমগ্ন হয়ে যান তারা  এবং আশেপাশের কয়েকটি পরিবার। সারা বছরই বাড়ি জলমগ্ন থাকলেও শনিবার ভারী বৃষ্টির কারণে গোটা বাড়ি জলে ডুবে যায়। জাতীয় সড়ক নির্মাণ হওয়ার পর থেকে এই সমস্যায় ভুগছেন তারা।  জলে ডুবে থাকা বাড়ি ছেড়ে অবশেষে  রাস্তার ওপরে পলিথিনের ঘর বানিয়ে আপাতত সেখানেই বসবাস করছেন তারা। একই সাথে পানাগর বাইপাসের কলকাতাগামী সার্ভিস রোডে ব্যারিকেড দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয় হাজরা বেড়ার বাসিন্দারা। হাজরা বেড়ার বাসিন্দারা জানিয়ে যতদিন না ওই এলাকার নিকাশি নালার জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে তাদের সমস্যা সমাধান না হোচ্ছে ততো দিন তারা বাইপাসের সার্ভিস রোডে যানচলাচল করতে দেবেন না। কলকাতা গামী রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। রাস্তা বন্ধ থাকায় কলকাতা গামী সমস্ত গাড়িকে ঘুর পথে পাঠানো হোচ্ছে। কাঁকসা ত্রিলোক চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সাহিনা বেগম জানিয়েছেন জাতীয় সড়কের নিকাশি নালা না থাকার কারণে গোটা এলাকা জলমগ্ন হয়ে যাচ্ছে বৃষ্টি পড়লেই। তবে তারা ওই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়াও কাঁকসার বিডিওর সাথে কথা বলে যাতে দ্রুত একটা বাড়ি তৈরির ব্যবস্থা বা বাড়ি মেরামত করে থাকার ব্যবস্থা করা যায় তার চেষ্টা করবেন তিনি। আপাতত জল নিষ্কাশনের জন্য শ্রমিক লাগানো হয়েছে।যতটা সম্ভব জল নিষ্কাশন করা হচ্ছে। কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দেবদাস বক্সী জানিয়েছেন। জাতীয় সড়কের গাফিলতির কারণেই বৃষ্টি হলে জাতীয় সড়কের আশেপাশের সমস্ত এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। তবে ওই এলাকা থেকে জমা জল বার করে ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।